বাংলার ছেলেমেয়েদের ছোটবেলাতে WBCS Officer হবার স্বপ্ন খুব একটা কারো থাকে না। কারণ, WBCS টা যে কী ব্যাপার, সেটাই সে জানে না তখন (হাতেগোনা কিছু ব্যতিক্রম থাকে অবশ্যই সবসময়) । তখন সে হতে চায় ডাক্তার কিংবা টিচার , নায়ক কিংবা গায়ক।
ক্রমে জীবন এগিয়ে চলে। কলেজ জীবনে এসে অনেকেই প্রথমবার প্রেমে পড়ে, WBCS এর প্রেমে। এ চাকরির ধরণটাই এমন যে, যারা কাজ করতে চায় দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, সম্মানের ক্ষিদে যাদের আছে, দুর্নীতি দমনের অদম্য জেদ যাদের বুকে, তারা এর প্রেমে পড়তে বাধ্য । শুরু হয় স্বপ্ন পূরনের দৌড়। রাতজাগা পরিশ্রম। চোখের কোলে কালি। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। অবশেষে স্বপ্নপূরণ কারো কারো হয়। তারা ট্যালেন্টেড। তাদের এবার রঙিন জীবন।
কিন্তু অনেকেরই প্রেম ভাঙে, থমকে যায় স্বপ্ন। আমাদের কথা এই এদেরকেই নিয়ে।
যুদ্ধ জেতার জন্য শক্তিশালী হলে ভালো। কিন্তু, রণকৌশল যদি খুব ভালো রকমের হয়, পরিকল্পনা যদি সায়েন্টিফিক হয়, ইচ্ছে যদি অন্তর থেকে তৈরি হয়, অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হেলায় হারানো যায়। ইতিহাস তার সাক্ষী।
তাই, কোনো যুদ্ধ জিততে গেলে আগে যুদ্ধক্ষেত্রটাকে হাতের তালুর মত চিনে নেওয়াটা বড়ো জরুরি। একই কথা WBCS এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
WBCS এমন একটা পরীক্ষা, যার ধরণ ধারণ বাকি পাঁচটা পরীক্ষার থেকে আলাদা। আর ঠিক তাই , এই পরীক্ষা ক্র্যাক করার মারপ্যাঁচ ও বাকিদের থেকে আলাদা। কারণ, “Every Lock has its own key”…
তাই, CGL বা IBPS এর চাবি তে WBCS এর তালা খুলবে না কখনোই।
এ পরীক্ষার সিলেবাস এতটাই বড়ো যে, ২ মাসের মধ্যে সিলেবাস শেষ করে রিভাইস দেবার প্ল্যান এখানে কাজ করবে না। আবার বড়ো সিলেবাস শেষ করার জন্য দিন রাত এক করে পড়াশোনা করার প্ল্যান ও বাস্তবে কাজে আসবে না। কারণ, প্রথম ১ সপ্তাহ অমানুষিক পরিশ্রম করার পর শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে এ যুদ্ধ জেতা যাবে না। দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা নয়, বরং ৫ ঘণ্টার কোয়ালিটি টাইম যথেষ্ট। কিন্তু পড়তে হবে প্রতিদিন, প্রতিটা দিন। ধীর অথচ নিশ্চিত পদক্ষেপে এগোতে হবে সাফল্যের দিকে।
প্রস্তুতি শুরুর আগে নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে নিজের পরিকল্পনা। বুঝতে হবে প্রশ্নপত্রের ধরণ ধারণ। সব পড়ার থেকে যা আসতে পারে, সেসব পড়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, আজকের দিনে হার্ড ওয়ার্ক এর চেয়ে স্মার্ট ওয়ার্ক অনেক বেশি এফেকটিভ।
এ তো গেল পরিকল্পনার কথা। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক কাজ এগোচ্ছে কিনা তা যাচাই করার জন্য নিজেকে মূল্যায়ণ করতে হবে প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষার মাধ্যমে। ফল আশানুরূপ না হলেই কঠোর হতে হবে নিজের প্রতি। হতেই হবে কঠোর। কেননা, মাটি কামড়ে লেগে থাকার নাম WBCS । স্বপ্ন অনেকেই দ্যাখে। সবার স্বপ্ন পূরন হয় না। অথচ, যারা স্বপ্ন ছুঁতে পারে, তাদের বেশিরভাগই স্কুল, কলেজের মধ্যমেধার ছাত্রছাত্রী। তাদের মেধা নয়, বরং সুপরিকল্পনা তাদেরকে আকাশ ছুঁতে সাহায্য করেছে।
তোমার এই আকাশ ছোঁবার স্বপ্নে ADDA247 BENGALI ইউটিউব চ্যানেলকে সঙ্গে পাবে তুমি। চলো, শুরু হোক নতুন উড়ান । হৃদয়ে থাক হার না মানার মন্ত্র – “Sky is the limit”